খয়বরের যুদ্ধে নিহত ব্যক্তিরাএ অভিযানে বিভিন্ন সময়ে ১৬ জন শহীদ হয়েছিলেন। তন্মধ্যে ৪ জন কোরায়শ, একজন আশজা গোত্রের, একজন আসলাম গোত্রের, একজন খয়বরের অধিবাসী এবং ৯ জন আনসার।অন্য এক বর্ণনা অনুযায়ী, এ অভিযানে মোট ১৮ জন শহীদ হন। আল্লামা মনসুরপুরী...
বিষ মিশ্রিত গোশতের ঘটনামহিলা বললো, আমি ভেবেছিলাম যদি এই ব্যক্তি বাদশাহ হন, তবে আমরা তার শাসন থেকে মুক্তি পাবো, আর যদি এই ব্যক্তি নবী হন, তবে আমার বিষ মেশানোর খবর তাকে জানিয়ে দেয়া হবে। এ নির্জলা স্বীকারোক্তি শুনে রসূল সাল্লাল্লাহু...
বিষ মিশ্রিত গোশতের ঘটনাখয়বর বিজয়ের পর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিশ্চিত হলেন। এ সময় সালাম ইবনে মুশকিম এর স্ত্রী যয়নব বিনতে হারেছ তাঁর কাছে বকরির ভূনা গোশত উপঢৌকন হিসেবে পাঠায়। সেই মহিলা আগেই খবর নিয়েছিলো যে, আল্লাহর রসূল বকরির...
হযরত সফিয়্যার সাথে বিবাহরসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সফিয়্যাকে ইসলামের দাওয়াত দিলে তিনি হৃষ্ট চিত্তে ইসলাম কবুল করেন। এরপর তিনি হযরত সফিয়্যাকে আযাদ করে দেন এবং তার আযাদীকে মোহরানা নির্ধারণ করে তাকে বিবাহ করেন। মদীনায় পৌঁছার পথে হযরত উম্মে...
হযরত সফিয়্যার সাথে বিবাহইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্বামীকে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে হত্যা করার পর হযরত সফিয়্যা বন্দী মহিলাদের অন্তর্ভূক্ত হন। বন্দী মহিলাদের একত্রিত করার পর হযরত দেহইয়া ইবনে খলিফা কালবী (রা.) আল্লাহর রসূলের কাছে একজন দাসী চান। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি...
কতিপয় সাহাবার আগমনআমরা ব্যতীত খয়বরে উপস্থিত অন্য কোন মুসলমান খয়বরের অংশ পাননি। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরাই শুধু গনীমতে মালের অংশ পেয়েছিলেন। হযরত জাফর এবং তাঁর সঙ্গীদের সাথে আমাদের নৌকার মাঝিরাও ভাগ পেয়েছিলেন। এদের সকলের মধ্যেই গণীমতের মাল বন্টন করা হয়েছিলো।হযরত সফিয়্যার সাথে...
কতিপয় সাহাবার আগমনএই যুদ্ধে হযরত জাফর ইবনে আবু তালেব রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে হাযির হন। তাঁর সাথে আশআরি মুসলমান অর্থাৎ হযরত আবু মূসা আশআরি (রা.) এবং তাঁর বন্ধু-বান্ধবও ছিলেন। হযরত আবু মূসা আশআরি (রা.) বলেন, ইয়েমেনে থাকার সময়ে...
গনীমতের সম্পদ বন্টনসওয়ার ছাড়া ঘোড়ার জন্যই একাংশ বরাদ্দ থাকে। ঘোড়ার অংশ একজন সৈনিকের দ্বিগুণ। এ কারণে খয়বরকে আঠারশ ভাগে ভাগ করা হয়। এর ফরে প্রত্যেক ঘোড় সওয়ার তিনভাগ হিসেবে ছয়ভাগ পান। আর বারোশত পদব্রজের সৈনিক বারোশত অংশ পান। খয়বরে প্রাপ্ত...
গনীমতের সম্পদ বন্টনপ্রতি অংশ ছিলো একশত ভাগের সমন্বয়। এভাবে মোট জমি তিন হাজার ছয়শত অংশে ভাগ করা হয়। এর অর্ধেক অর্থাৎ আঠারশ ভাগ ছিলো মুসলানদের। সাধারণ মুসলমানদের মতোই আল্লাহর রসূলেরও শুধু একটিমাত্র অংশ ছিলো। বাকি আঠারশ ভাগ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি...
গনীমতের সম্পদ বন্টনআমরা এর তত্ত্বাবধান করবো। এই ভূখন্ড সম্পর্কে আমরা আপনাদের চেয়ে বেশী অবগত।এদিকে আল্লাহর রসূলের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক দাস ছিলো না, যারা এ জমি আবাদ এবং দেখাশোনা করতে পারে। এ কাজ করার মতো সময় সাহাবায়ে কেরামেরও ছিলো না। এসব...
বিশ্বাসঘাতকতা ও তার শাস্তিইবনে কাইয়েম বর্ণনা করেছেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবুল হাকিকের উভয় পুত্রকে হত্যা করিয়েছিলেন। উভয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ লুকানোর সাক্ষী দিয়েছিলেন কেনানার চাচাতো ভাই। এরপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুয়াই ইবনে আখতারের কন্যা সাফিয়্যাকে বন্দী করেন।...
বিশ্বাসঘাতকতা ও তার শাস্তিকেনানা বললো, হাঁ রাজি। এরপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিত্যক্ত এলাকা খননের নির্দেশ দিলেন। সেখানে কিছু অর্থ-সম্পদ পাওয়া গেলো। অবশিষ্ট ধন-সম্পদ সম্পর্কে আল্লাহর রসূলের জিজ্ঞাসার জবাবে সে কিছু জানে না বলে জানালো। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া...
বিশ্বাসঘাতকতা ও তার শাস্তিএকটি চামড়া তারা লুকিয়ে রাখে, সেই চামড়ায় সম্পদ এবং হুয়াই ইবনে আখতারের অলংকারসমূহ ছিলো। হুয়াই ইবনে আখতার মদীনা থেকে বনু নাযিরের বহিষ্কারের সময় এসব অলংকার নিজের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলো।ইবনে ইসহাক লিখেছেন, আল্লাহর রসূলের সামনে কেনানা ইবনে আবুল...
গনীমতের সম্পদ বন্টনঘোড়ার অংশ একজন সৈনিকের দ্বিগুণ। এ কারণে খয়বরকে আঠারশ ভাগে ভাগ করা হয়। এর ফরে প্রত্যেক ঘোড় সওয়ার তিনভাগ হিসেবে ছয়ভাগ পান। আর বারোশত পদব্রজের সৈনিক বারোশত অংশ পান। খয়বরে প্রাপ্ত গনীমতের প্রাচুর্যের বিবরণ বোখারী শরীফের একটি হাদীসে...
গনীমতের সম্পদ বন্টনবাকি আঠারশ ভাগ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের জাতীয় প্রয়োজন এবং আকস্মিক কোনো সমস্যা মোকাবেলার জন্য পৃথক করে রেখেছিলেন। আঠারশত ভাগে বিভক্ত করার উদ্দেশ্য ছিলো এই যে, খয়বরের জমি ছিলো হোদায়বিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য আল্লাহর একটি বিশেষ দান।...
গনীমতের সম্পদ বন্টনএদিকে আল্লাহর রসূলের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক দাস ছিলো না, যারা এ জমি আবাদ এবং দেখাশোনা করতে পারে। এ কাজ করার মতো সময় সাহাবায়ে কেরামেরও ছিলো না। এসব কারণে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদীদের কাছে খয়বরের জমি বর্গা...
বিশ্বাসঘাতকতা ও তার শা¯িত্মইবনে কাইয়েম বর্ণনা করেছেন, রসূল সাল¯œাল¯œাহু আলাইহি ওয়া সাল¯œাম আবুল হাকিকের উভয় পুত্রকে হত্যা করিয়েছিলেন। উভয়ের বির¤œদ্ধে সম্পদ লুকানোর সা—গী দিয়েছিলেন কেনানার চাচাতো ভাই। এরপর রসূল সাল¯œাল¯œাহু আলাইহি ওয়া সাল¯œাম হুয়াই ইবনে আখতারের কন্যা সাফিয়্যাকে বন্দী করেন।...
বিশ্বাসঘাতকতা ও তার শাস্তিএরপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিত্যক্ত এলাকা খননের নির্দেশ দিলেন। সেখানে কিছু অর্থ-সম্পদ পাওয়া গেলো। অবশিষ্ট ধন-সম্পদ সম্পর্কে আল্লাহর রসূলের জিজ্ঞাসার জবাবে সে কিছু জানে না বলে জানালো। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেনানাকে হযরত যোবায়ের...
সন্ধির আলোচনারসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হাঁ। অনুমতি পাওয়ার পর আবুল হাকিক এই শর্তে সন্ধি প্রস্তাব পেশ করে যে, দুর্গে যে সকল সৈন্য রয়েছে তাদের প্রাণ ভিক্ষা দেয়া হবে এবং তাদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাও তাদের কাছেই থাকবে। অর্থাৎ তারা মুসলমানদের দাস-দাসী...
খয়বরের দ্বিতীয় ভাগ জয়রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই এলাকায় অর্থাত কোতায়বায় আগমনের পর সেখানের অধিবাসীদের কঠোরভাবে অবরোধ করেন। চৌদ্দদিন যাবত এ অবরোধ অব্যহত থাকে। ইহুদীরা তাদের দুর্গ থেকে বের হচ্ছিল না। পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্ষেপনাস্ত্র মোতায়নের...
নেজার দুর্গ জয়অন্যান্য দুর্গের মতোই এ দুর্গ থেকেও ইহুদীরা চুপিসারে সটকে পড়ে। নারী ও শিশুদের মুসলমানদের দয়ার ওপর ছেড়ে দিয়ে তারা নিজেদের প্রাণ রক্ষা করে। এ মজবুত দুর্গ জয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা খয়বরের প্রথম অর্ধেক অর্থাৎ নাজাত ও শেক এলাকা জয়...
নেজার দুর্গ জয়ইহুদীদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, মুসলমানরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেও এ দুর্গে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই এতে তারা নারী ও শিশুদের সমবেত করেছিল, অন্য কোন দুর্গে রাখেনি।মুসলমানরা এ দুর্গে কঠোর অবরোধ আরোপ এবং ইহুদীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন।...
উবাই দুর্গ জয়যোবায়ের দুর্গের পতনের পর ইহুদীরা উবাই দুর্গে গিয়ে সমবেত হয়। মুসলমানরা সেই দুর্গও অবরোধ করেন। এবার শক্তিগর্বে গর্বিত দুইজন ইহুদী পর্যায়ক্রমে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলার আহ্বান জানায়। উভয়েই মুসলমানদের হাতে নিহত হয়। দ্বিতীয় ইহুদীর হত্যাকারী ছিলেন লাল পট্টিধারী বিখ্যাত যোদ্ধা...